ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার উপায়
বাংলাদেশে ছাত্র হিসেবে অর্থ উপার্জন করার সহজ উপায়
ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার উপায় সম্পর্কের জানতে আগ্রহী। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে বলব কিভাবে ফেসবুকে ২ ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করবেন।
ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন কি এবং কিভাবে আপনি ফেসবুকের মধ্যে এটি বন্ধ করবেন। সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের এই আর্টিকেল টি জুড়ে আমাদের সাথেই থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার উপায়
- ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার উপায়
- ফেসবুক টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন কি
- টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এর গুরুত্ব
- ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন কেন ব্যবহার করবেন
- কেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করতে চায়
- টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু রাখার কিছু সমস্যা
- ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার পর করণীয়
- লেখক এর শেষ কথা
ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার উপায়
ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার উপায় বর্তমান সময়ে খুবই সহজ। তবে এটি বন্ধ করার জন্য কিছু প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে। কিভাবে ফেসবুকেও ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করবেন তার পুরো প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হল।
ফেসবুকে লগইন করাঃ ফেসবুকে টু ফেক্টর অথেনটিকেশন বন্ধ করতে হলে প্রথমেই আপনাকে আপনার ফেসবুক একাউন্টটি লগইন করতে হবে। যদি আপনার একাউন্টটি আগে থেকেই ফেসবুকের মধ্যে লগইন করা থাকে তাহলে সরাসরি পরবর্তী ধাপে দিতে পারেন।
ফেসবুক সেটিংস এ যাওয়াঃ প্রথম অবস্থায় আপনাকে ফেসবুক লগইন করার পর। আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে গিয়ে উপরে ডানকোণে প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করতে হবে। এরপরে আপনাকে Setting and privacy অপশনের উপর ক্লিপ করতে হবে। তারপরে সেখান থেকে সেটিং অপশন নির্বাচন করতে হবে।
সিকিউরিটি এবং লগইন অপশনঃ সেটিং অপশন নির্বাচন করার পর সেখানে প্রবেশ করতে হবে। এরপর setting মেনুতে বামদিকে Security and login নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন। এরপর সেই অপশনে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।
টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন সেটিংঃ Security and login এই পৃষ্ঠায় যাওয়ার পর একটু নিচের দিকে স্কুল করতে হবে। তারপরে Two Factor Authentication নামে একটা অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করতে হবে। সেখানে ক্লিক করার পর আপনি দেখতে পাবেন যে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন কিভাবে সেটআপ করা হয়েছে।
টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার প্রক্রিয়াঃ দুই ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন পৃষ্ঠায় যাওয়ার পর আপনি Edit বোতাম নামক একটা অপশন পাবেন। সেখানে ক্লিক করতে হবে। এবং সেখানে ক্লিক করার পর আপনাকে অপশন দেওয়া হবে যেটার মাধ্যমে আপনি টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করতে পারবেন।
টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার নিশ্চিত করুনঃ ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করতে চাইলে আপনাকে সর্বপ্রথম নিশ্চিতকরণ একটি উইন্ডো দেখাবে। এখানে আপনাকে পুনরায় আবার নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করতে চান। তারপর আপনি পুনরায় নিশ্চিত করার সাথে সাথে আপনার টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন সহজেই বন্ধ হয়ে যাবে।
আপনি ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন একবার বন্ধ করলে। আপনি আবার আপনার পাসওয়ার্ড দিয়ে খুব সহজেই ফেসবুক একাউন্টে পুনরায় লগইন করতে পারবেন। তবে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা আগের থেকে কিছুটা কমে যাবে।
ফেসবুক টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন কি
ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন কি এটিও জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন হল ফেসবুকের একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাটি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের একাউন্টে প্রবেশ করতে দুটি স্তরের প্রমাণিকরণ চায়। টু সেক্টর অথেনটিকেশন সাধারণত পাসওয়ার্ড এর পাশাপাশি আরেকটি অতিরিক্ত কোডের মাধ্যমে কাজ করে।
যখন একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী তার একাউন্টে পাসওয়ার্ড প্রবেশ করায় তখন ফেসবুক থেকে ব্যবহারকারীকে একটি কোড প্রদান করে। যেই কোডটি সাধারণত ব্যবহারের কারীর কাছে ইমেইল অথবা অথেন্টিকেশন বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো হয়ে থাকে। আর এই কোডটি ফেসবুকে প্রবেশ করানোর পর ব্যবহারকারী তার একাউন্টে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়।
টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এর গুরুত্ব
ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার উপায় জানার আগে এর গুরুত্ব জানাও প্রয়োজনীয়। বর্তমান সময়ে ফেসবুকে টুপেক্টর অথেনটিকেশন একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বাড়ায় এবং এর সাথে তাদের ব্যক্তিগত তথ্যকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এর কিছু গুরুত্ব নিচে উল্লেখ করা হলো।
নিরাপত্তা বৃদ্ধি করাঃ টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ফেসবুক একাউন্টে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা অত্যন্ত আকারে বৃদ্ধি করে। এর কারণ হলো এটি দ্বিতীয় স্তরের সুরক্ষা প্রদান করে।
ফেসবুক হ্যাকিং থেকে রক্ষাঃ যদি ভুলবশত আপনার ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড চুরি হয়ে যায়। তারপরেও টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন কোডের অভাবে হ্যাকাররা আপনার ফেসবুক একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।
সুরক্ষা প্রদান করাঃ ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এর অন্যতম গুরুত্ব হল সুরক্ষা প্রদান করা। টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করার ফলে এটি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অঙ্গীকারবদ্ধ সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন কেন ব্যবহার করবেন
ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার উপায় জানার আগে ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন কেন ব্যবহার করবেন জানা জরুরী। কেননা বর্তমান সময়ে ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি ব্যবস্থা। কি কি কারনে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করা উচিত তা নিচে উল্লেখ করা হল।
একাউন্টের সুরক্ষাঃ টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার ব্যক্তিগত সকল তথ্য রক্ষা করবে। এবং এর সাথেও টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন নিশ্চিত করবে যে কেবলমাত্র আপনার পাসওয়ার্ড এবং এককালীন কোডের মাধ্যমেই আপনার ফেসবুক একাউন্টে প্রবেশ করা সম্ভব হবে।
সচেতন বৃদ্ধি করাঃ যখন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করেন তখন তারা আগের থেকে আরও বেশি সচেতন হয়ে যান। এর কারণ টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহারকারীদের মনোভাব তৈরি করে। যে তারা বুঝতে পারে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষা করা তাদেরই নিজেদেরই দায়িত্ব।
প্রযুক্তিগত শিক্ষার বৃদ্ধি করাঃ টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহারে গ্রাহকরা প্রযুক্তিগত জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারে। এর কারণ হলো এটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা তাদের প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানার জন্য উৎসাহী হয়ে ওঠে।
কেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করতে চায়
ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার উপায় জানার জন্য কেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করতে চায় এটিও জানা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত বর্তমান সময়ে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী টু ফ্যাক্টর অথেন্টেশন ব্যবহার করতে চান।না এর কয়েকটি কারণ হল
বারবার কোড প্রবেশ করতে হয়ঃ সাধারণত কিছু কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারী বারবার কোট প্রবেশ করাতে পছন্দ করেন না। এর কারণ হলো যখন কোন ফেসবুক ব্যবহারকারী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি অন্য কোন ডিভাইসে লগইন করতে চান তখন কোডের প্রয়োজন হয়। এর কারণ কোড ছাড়া অক্টো ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন অন্য কোন ডিভাইসে ফেসবুক একাউন্ট লগইন করার পারমিশন দেয় না।
মোবাইল বা অ্যাপ হারানোর জন্যঃ সাধারণত দেখা যায় অনেক সময়ই ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইস পরিবর্তন করেন বা মোবাইল হারিয়ে ফেলেন। তখন দেখা যায় অন্য ডিভাইসে লগইন করার সময় ২ ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এর কোড পেতে সমস্যায় পড়েন।
অতিরিক্ত নিরাপত্তার প্রয়োজন না মনে করাঃ বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী মনে করেন যে তাদের অ্যাকাউন্টটি এত গুরুত্বপূর্ণ নয়। এর জন্য তাদের অতিরিক্ত কোন সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। তাদের জন্য পাসওয়ার্ড নিরাপত্তাই যথেষ্ট। এক্ষেত্রেও অনেক ব্যবহারকারী টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করার প্রয়োজন মনে করেন না।
টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু রাখার কিছু সমস্যা
ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলেটু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু রাখার কিছু সমস্যা জানাও আপনার জন্য প্রয়োজন। এর কারণ হলো টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহারের কিছু সমস্যা রয়েছে। যা facebook ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বিঘ্ন ঘটাতে ভূমিকা রাখে। যেমন অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট করতে সমস্যা হয়।
আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০হাজার টাকা আয় করার উপায়
অনেক সময় দেখা যায় যে ব্যবহারকারীরা তাদের একাউন্টে ২ ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করেন। এর ফলে দেখা যায় যে একাধিক কোড মনে রাখা এবং ব্যবহার করা গ্রাহকদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। যা ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বড় সমস্যা বলে মনে করা হয়। এছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করার ফলে অনেক অপ্রয়োজনীয় কোডের বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
এর কারণ অনেক ব্যবহারকারী অনেক সময় দেখা যায় যে অপ্রয়োজনীয় কোট পান যা তাদেরকে বিভ্রান্তি করে। এছাড়াও দেখা যায় অনেক সময় টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করার ফলে কিছু কিছু ব্যবহারকারী ভুয়া সতর্কতা পায়। যার ফলে অনেক ব্যবহারকারী ভুলবশত মনে করেন যে তাদের একাউন্টে সমস্যা হয়েছে। ফলে দেখা যায় এটি তাদের উদ্বেগ বাড়াতে সাহায্য করে।
ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার পর করণীয়
ফেসবুকে টু সেক্টর অথেনটিকেশন বন্ধ করার পর আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা কিছুটা কমে যেতে পারে। যাতে আপনার ফেসবুক একাউন্টের নিরাপত্তা না করে সুরক্ষিত থাকতে পারে এমনই কিছু উপায় নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
পাসওয়ার্ড ব্যবহার করাঃ আপনার ফেসবুক একাউন্টে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করলে আপনার পাসওয়ার্ডের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে সহজে অনুমান করা যায় এমন পাসওয়ার্ড আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে এবং একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড আপনার একাউন্টে ব্যবহার করতে হবে। যার ফলে অন্য কেউ খুব সহজেই লগইন বা একাউন্টে কোন সমস্যা তৈরি করতে না পারে।
অ্যালার্ট চালু রাখাঃ অনেক সময় দেখা যায় যে ব্যবহারকারীদের একাউন্টে সন্দেহজনক কোন কার্য করার দেখা দিলে ফেসবুক থেকে একটি এলার্ট মেসেজ পাঠায়। ঠিক সেরকমই আপনি যদি ফেসবুক সেটিং থেকে লগ ইন অ্যালার্ট চালু করে দেন এতে আপনার একাউন্টে অস্বাভাবিক কোন কার্যকলাপ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ট মেসেজের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন।
নিয়মিত প্রাইভেসি চেক করাঃ ফেসবুকে দু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার পর আপনি আপনার প্রাইভেসি চেকআপ ফিচার এবং একাউন্টের নিরাপত্তা ও প্রাইভেট সেটিং নিয়মিত আপডেট করতে পারেন। ফলে দেখা যাবে আপনি নিয়মিত আপডেট করার পরে আপনার ফেসবুক একাউন্টের সমস্যা জনিত যে কোন তথ্য খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারবেন।
লেখক এর শেষ কথা
আজকের ডিজিটাল যুগের অথেন্টিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা ব্যবস্থা। সাধারণত একটু বিবেচনা করলে দেখা যায় যে আমাদের জীবনের বেশিরভাগ অংশই অনলাইন জগতে চলে গেছে। এই অনলাইন জগতে আমরা বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া এবং অনেক ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করি। সকল প্লাটফর্মগুলোতে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য বা ডেটা সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আর এই ডেটা গুলো সংরক্ষণ করতে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন একটি কার্যকরী মাধ্যম। যদিও টু সেক্টর অথেনটিকেশন চালু রাখার পরে সাময়িক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের এই সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে এর সুবিধা গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। বর্তমান সময়ে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন শুধুমাত্র আমাদের নিজেদের তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে না বরং অনেক সাইবার অপরাধীদের জন্য শক্তিশালী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
তাই আসুন আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রতি সচেতন হই এবং টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহারেও আগ্রহী হই। এর কারণ শুধুমাত্র একটি কোডই আমার আপনার অনেক তথ্য সুরক্ষা করতে পারে। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে নিরাপদ সুরক্ষিত এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
আশা করি আজকের এই ব্লকটি আপনার উপকারী হবে। নিরাপত্তা প্রযুক্তি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপডেট পেতে আমাদের ব্লগে নিয়মিত আসুন। আপনার নিরাপত্তা আমাদের প্রতিশ্রুতি। আর সম্পূর্ণ ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
যমুনা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url