বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য ২০২৪
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় এই বাংলাদেশে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। সবুজ বন সোনালী ধানের ক্ষেত নীল আকাশ এবং সবুজ মাঠ ও বিভিন্ন নদ-নদী দিয়ে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ। এছাড়াও পাহাড়ি অঞ্চল গুলো এবং সুন্দরবনের মতো বনাঞ্চলের জীবন বৈচিত্র্য দিয়ে ভরপুর এই দেশে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ ভূমি এই দেশ। বাংলাদেশের প্রতিটি নদীর তীরে গ্রামীণ জীবন এবং প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য হাজারো দর্শনার্থীদের মন কেড়ে নেয়। আজকের এই ব্লগে বাংলাদেশের এমন ১০ দর্শনীয় স্থান নিয়ে আলোচনা করব যেই স্থানগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সৌন্দর্যের এক অসাধারণ প্রতিচ্ছবি।
পোস্ট সূচিপত্রঃবাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান
- বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান
- প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম প্রতীক জাফলং
- বাংলাদেশের প্রাচীনতম নগরী মহাস্থানগড়
- প্রাচীন বাংলার এক ঐতিহাসিক স্থান পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার
- মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি
- রয়েল বেঙ্গল টাইগার আবাসস্থল সুন্দরবন
- প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন
- সাগরকন্যা শহর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
- জলদ জঙ্গল রাতারকুল সোয়াম্প ফরেস্ট
- মেঘের রাজপথ নীলগিরি
- শেষ কথাঃ বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় যে স্থানটি তা হল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এবং এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এই সৈকতটি ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ নিয়ে বঙ্গোপসাগরেরকোল ঘেঁষে অবস্থল।
বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশি আর ঢেউয়ের শব্দ কক্সবাজার পর্যটকদের জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা তৈরি করে। এইখানের স্থানীয় সংস্কৃতি সৌন্দর্য এবং সমুদ্রের পরিবেশ দর্শনার্থীদের নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমায় পড়ন্ত বিকেলের সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখার জন্য।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পর সমুদ্রের পানি মায়াবীর নীল আলোতে আলোকিত করে তোলে যা যা প্রকৃতিপ্রেমীদের এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য করে তোলে। বর্তমানে অনেকেই জানেন না যে কক্সবাজারের কিছু কিছু অংশে বর্ষাকালীন সময়ে সমুদ্রের পানিতে আলুর ঝিলিক দেখা যায় এই সমুদ্রের পানি এক মায়াবী আলোতে আলোকিত হয়। এটি অবশ্যই পর্যটকদের জন্য এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা হতে পারে।
এর একটি কারণ হলো বর্তমানে সারা বিশ্বে খুব কম স্থানেই এই দৃশ্য দেখা যায় । আপনি যদি সঠিক সময়ে বিশেষ করে বর্ষাকালীন সময়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যান তাহলে এই দুর্লভ প্রাকৃতিক দৃশ্যটি উপভোগ করতে পারবেন। কক্সবাজারের স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সাথে মাছ ধরার মতো অসাধারণ অভিজ্ঞতা ও অর্জন করতে পারবেন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম প্রতীক জাফলং
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় একটি স্থান হল জাফলং। বাংলাদেশের অন্যতম মনোমুগ্ধকর এই পর্যটন কেন্দ্রটি সিলেট জেলায় অবস্থিত। এই পর্যটন কেন্দ্রটি সাধারণত সবুজ পাহাড় এবং স্বচ্ছ নদী ও চমৎকার পাথরের জন্য বিখ্যাত। এখানকার নদীর স্বচ্ছ জল রাশির মধ্য দিয়ে ভেসে আসে পাহাড়ের রঙিন পাথর যা স্থানীয় মানুষজন সংগ্রহ করে থাকেন।
এখানকার নদীগুলোর নিচে থাকা রঙিন পাথরের স্তরগুলো নদীটিকে এক অপরূপ সৌন্দর্যময় মায়াবি রূপ দেয়। যা পর্যটকদের বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক জাফলং এর সবচেয়ে প্রধান আকর্ষণ হল পাহাড়ের উপর দিয়ে ভেসে বেড়ানো মেঘ। এই পাহাড়ের উপরে উঠে আপনার মনে হবে যেন মেঘগুলো হাত দিয়ে ছোঁয়া যায়। জাফলং এর শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয় এখানকার স্থানীয় উপজাতিদের সংস্কৃতি এবং জীবনধারা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
বর্ষাকালে জাফলং এর পাহাড় বেয়ে নেমে আসা ঝর্ণাগুলো পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও বর্তমানে জাফলং এর বিশেষ একটি জায়গায় পাথরের নিচে প্রাচীন যুগের কিছু নিদর্শন পাওয়া গেছে। যে সকল নিদর্শন গুলো নির্দেশ করে যে জাফলং এই অঞ্চলে হাজার হাজার বছর আগে থেকেই মানুষের বাসস্থান ছিল। সবদিক দিয়ে বিবেচনা করে জাফলং বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রতীক।
বাংলাদেশের প্রাচীনতম নগরী মহাস্থানগড়
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান এরমধ্যে একটি আকর্ষণীয়দর্শনীয় স্থান হল প্রাচীনতম নগরী মহাস্থানগড়। মহাস্থর বাংলাদেশের ২৫০০ বছরের পুরনো বাংলাদেশের প্রাচীনতম নগর হিসেবে পরিচিত। মহাস্থানগড় বাংলাদেশের বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। মহাস্থানগড় প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলোর সাক্ষ্য দেয়।
আরো পড়ুনঃ কক্সবাজারের দশটি দর্শনীয় স্থান
এই মহাস্থানগরে পাওয়া গেছে প্রচুর মুদ্রা পাথরে খোদাই করা শিল্প-কর্ম এবং প্রাচীনকালের সীলমোহর যা মহাস্থানগড়কে একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ইঙ্গিত করে। দর্শনার্থীদের জন্য মহাস্থানগড়ের প্রধান আকর্ষণ হল গোবিন্দ ভিটা এবং মাজার এটি একটি প্রাচীনতম কেল্লা শহর যার আশেপাশে প্রাচীন অনেক উপস্থাপনা রয়েছে যা আজও দর্শনার্থীদের জন্য আকর্ষণীয়।
এছাড়াও সাম্প্রতিক ক্ষরণে জানা গেছে যে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের আশেপাশে আরো কিছু প্রাচীন নিদর্শন লুকিয়ে লুকিয়ে আছে যেই নিদর্শনগুলো এখনো পুরোপুরি আবিষ্কৃত হয়নি। এই নিদর্শনগুলো প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি ও ধর্মীয় জীবনের ঐতিহ্য বহন করে। মহাস্থানগড়ের প্রতিটা নিদর্শন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সাংস্কৃতির গভীরতা প্রকাশ করে।
প্রাচীন বাংলার এক ঐতিহাসিক স্থান পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে দর্শনার্থীদের আকর্ষণীয় একটি স্থান হল প্রাচীন বাংলার পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার যা সম্পূর্ণ। এই বুদ্ধ বিহার টি নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় অবস্থিত। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার রাজা ধর্মপাল অষ্টম শতাব্দীতে নির্মাণ করেন। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মধ্যে অন্যতম ছিল এবং এশিয়ার প্রাচীন শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবেও বিখ্যাত ছিল।
এই বিহারের দেয়ালে খোদাই করা প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি সমৃদ্ধ শিল্পকর্মগুলো দর্শনার্থীদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সহযোগিতা করে। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের মূল আকর্ষণ হল প্রাচীনকালের মানুষের তৈরি ভাস্কর্য যা দর্শনার্থীদের জন্য বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য জানাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে দর্শকদের যে স্থানটি বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা হল মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি। সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত। একটি বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পর্যটন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে একটি দর্শনার্থীদের কাছে বিখ্যাত। পাহাড়ের উপর ভেসে থাকা মেঘ দর্শনার্থীদের কে এক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাজেক ভ্যালিতে পাহাড়ের উপরে দাঁড়ালে চারপাশে সবুজ আর সবুজ সাদা মেঘের সাগর দেখতে পাবেন বিশেষ করে সন্ধ্যায় এবং ভোরের সময় সাজেক ভ্যালির সম্পূর্ণ এলাকা মেঘ দ্বারা ঢেকে থাকে। যা যা দর্শনার্থীদের মেঘের মধ্যে দিয়ে হাঁটার এক অসাধারণ অনুভূতি দেয়। এখানকার এঁকেবেঁকে চলা নদীগুলো দর্শনার্থীদের এক মোহনীয় দৃশ্য দেখতে সহযোগিতা করে।
সাজেক ভ্যালির যে নিদর্শন দর্শকদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা হল ঝরনা। বিশেষ করে বর্ষাকালে সাজেক ভ্যালির ঝরনা গুলো পূর্ণরূপ দেয় যা দর্শকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। সবদিক দিয়ে বিবেচনা করলে দেখা যায় মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি দর্শনার্থীদের জন্য একটি সেরা স্থান।
রয়েল বেঙ্গল টাইগার আবাসস্থল সুন্দরবন
সুন্দরবন বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ এবং ঐতিহ্যবাহী স্থান। সুন্দরবন মূলত বাংলাদেশের খুলনা সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাট জেলা নিয়ে গঠিত। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং রাম রহস্যময় পরিবেশের জন্য পর্যটকদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। সুন্দরবন এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় যে দি ক তা হল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল।
এই রয়েল বেঙ্গল টাইগার কে তার নিজস্ব বাসভূমিতে দেখার সৌভাগ্য দর্শনার্থীদের জন্য অভিজ্ঞতা দেয়। যদিও সুন্দরবনের বাঘ সরাসরি দেখা একটু কঠিন তবে তাদের উপস্থিতির লক্ষণগুলো খুব সহজেই দেখা যায়। যেমন তাদের ডাক এবং পায়ের ছাপ। রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও সুন্দরবনে আরো অনেক রকমের প্রাণী রয়েছে যেমন কুমির বানর চিত্রা হরিন ইত্যাদি।
সুন্দরবনে ভবনের সময় বন্যপ্রাণীদের এইসব বৈচিত্র দর্শনার্থীদের কাছে আরো আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। এছাড়াও সুন্দরবনের সবচেয়ে জনপ্রিয় আকর্ষণ হল নৌকায় ভ্রমণ করা। নৌকায় ভ্রমণ করে সুন্দরবনের গভীরতা এবং নির্জনতা পর্যটকদের কাছে এক অন্যরকম অনুভূতি এনে দেয়। এবং মে জুন মাসে পর্যটকরা এই দর্শনীয় স্থানে গেলে স্থানীয় মধু সংগ্রহ করতে পারেন যা দর্শনার্থীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও সুন্দরবনের কাছে নতুন কিছু রিসোর্ট ও হোটেল গড়ে উঠেছে যা এইখানের পর্যটকদের জন্য আরামদায়ক অবস্থান তৈরি করে।
প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হল বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ। সাধারণত এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপকূল থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিনে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত। এই ছোট্ট দীপ্তি সাদা বালুর সৈকত এবং জীবন্ত প্রবাল প্রাচীরের জন্য দর্শনার্থীদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের রঙিন প্রকৃতি পর্যটকদের কাছে এক ভিন্ন রকম আকর্ষণ তৈরি করে। প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন এর প্রধান আকর্ষণ হল সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত।
কারণ প্রতিদিন সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় বঙ্গোপসাগরের উপরে এসে পড়া সূর্যের রঙিন প্রতিফলন দর্শকদের মনকে আরো বেশি আকর্ষণ করে। এছাড়াও সেন্ট মার্টিন দ্বীপের একটি অন্যতম আকর্ষণ হল তাজা সামুদ্রিক মাছ। দ্বীপের কাছাকাছি রেস্তোরাঁ গুলোতে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক তাজা মাছ পরিবেশন করা হয় যা দর্শকদের কাছে অত্যন্ত লোভনীয়। এছাড়াও বর্তমানে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে রাতের আকাশ দেখার জন্য দ্বীপের পাশেই নতুন ক্যাম্পিং করা হয়েছে যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দর্শনার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সাগরকন্যা শহর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
বাংলাদেশের সেরা ১০ দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে একটি আকর্ষণীয় স্থান হল সাগর কন্যার শহর কুয়াকাটা। কুয়াকাটা বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার একটি জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের জন্য এক বিশেষ আকর্ষণ। যার কারণ হলো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়।
যা যুগের পর যুগ ধরে দর্শনার্থীদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে। কুয়াকাটায় স্থানীয় মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রা দেখতে পাওয়া যায় মাছ ধরার জন্য গেলে তাদের কার্যক্রম দর্শনার্থীদেরও দেখার সুযোগ মিলে। বিশেষ করে যারা সমুদ্রের সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য সাগরকন্যা কুয়াকাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান হতে পারে।
জলদ জঙ্গল রাতারকুল সোয়াম্প ফরেস্ট
বাংলাদেশে দর্শনার্থীদের কাছে একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হল রাতারকুল সোয়াম ফরেস্ট। এটি বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার এক অসাধারণ বৃহৎ সোয়াম বন হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে রাতারকুল ফরেস্টের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের জন্য এক বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে এখানে অবস্থিত কেওড়া এবং গোলপাতা গাছগুলো দর্শকদের অভিজ্ঞতাকে এক নতুন দৃষ্টান্ত দেয়।
রাতার কূলে দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণ হল এখানকার স্থানীয় সংস্কৃতি। রাতারকুলের স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা এবং রীতিনীতি নজর কেড়ে নেয়। এছাড়াও রাতারকুল সোয়াম ফরেস্ট বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং সামুদ্রিক প্রাণী সমৃদ্ধ। এখানকার বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং বন্যপ্রাণী দর্শনার্থীদের এক বিশেষ আকৃষ্ট তৈরি করে। বর্তমানে রাতারকুল বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান হাজার হাজার স্থানীয় এবং বিদেশী পর্যটকরা আসেন।
বিশেষ করে রাতার কুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নদী ভ্রমণের সুযোগ রাতারকুলকে দর্শনার্থীদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। সবকিছু মিলিয়ে রাত আর কল ফ্রম ফরেস্ট একটি সুন্দর স্থান যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য রাতারকুল শ্রম ফরেস্টে ভ্রমণ করার মাধ্যমে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে একান্ত হয়ে যাওয়ার অনুভূতি পাওয়া যায়।
মেঘের রাজপথ নীলগিরি
নীলগিরি বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি স্থান। নীলগিরি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ি অঞ্চল গুলোর মধ্যে একটি। সাধারণত উচ্চতা ৬৮০ মিটার। নীলগিরির মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দীর্ঘদিন ধরে প্রকৃতি প্রেমিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে। মেঘের রাজপথ নীলগিরির পর্বত চূড়া মেঘের মালা এবং সবুজ পাহাড় মিলে এক অপূর্ব দৃশ্য।
নীলগিরির সৌন্দর্য শুধু দিনের বেলায় নয় রাতের আকাশেও নীলগিরি সৌন্দর্য অপরূপ। মেঘের রাজপথ নীলগিরির বিশেষত্ব হল সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় মেঘের নাচতে থাকা পাহাড়ের দৃশ্য। এই দৃশ্য দর্শনারদের এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করতে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এখানকার স্থানীয় উপজাতিদের জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতি পর্যটকদের কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। সর্বশেষ নীলগিরি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের সবগুলো দর্শনীয় স্থানই তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বৈচিত্রের জন্য অতি পরিচিত এই প্রত্যেকটি দর্শনীয় স্থানই ভ্রমণকারীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা এনে দেয়। আজকের এই ব্লগে আমরা যে দশটি দর্শনীয় স্থান নিয়ে আলোচনা করলাম সবগুলোই বাংলাদেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এগুলো শুধু বাংলাদেশের দর্শনার্থীদেরই নয় বরং আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদেরও বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
এই প্রতিটা স্থানে বাংলাদেশের এক একটি রত্ন যা আমাদের নতুন কিছু দেখার এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ করে দেয় এইসব স্থানগুলো আমাদের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কে চেনায় যা আমাদের দেশকে এবং আমাদের আগামী প্রজন্মকে আরো সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
যমুনা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url