১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য ২০২৪
মাসে ৫০হাজার টাকা আয় করার উপায়
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন। এই দিনটিতে বাঙালি জাতি অর্জন করেছিল স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ আজকের এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।
আজকের এই দিনটি শুধুমাত্র আমাদের বিজয়ের স্মারক নয়। এটি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য ২০২৪ নিয়ে আমাদের স্বাধীনতার ফলশ্রুতির ওপর বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই ব্লগে
পোস্ট সুচিপত্রঃ ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য ২০২৪
- ১৯৭০ সালের রাজনৈতিক উত্তেজনা
- মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি
- ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু
- মুক্তিযুদ্ধের ধাপ
- বিজয়ের মুহূর্ত
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমাদের অবদান
- বিজয়ের সুফল এবং দেশের অগ্রগতি
- মহান বিজয় দিবসে আমাদের করনীয়
১৯৭০ সালের রাজনৈতিক উত্তেজনা
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্যে বিশ্লেষণ শুরু হয় ১৯৭০সালের সাধারণ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। ১৯৭০সালের সাধারণ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজয় অর্জন করেন। কিন্তু এই বিজয় পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী মেনে নেয়নি তারা ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে সরানোর জন্য টালবাহানা শুরু করে।
ওই সময় পাকিস্তানি পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতির উপর স্বায়ত্তশাসন করা।এই অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার ঐতিহাসিক রিসকোর্স ময়দানে এক ভাষণ দেন। সেই মুক্তিযুদ্ধের ভাষণ বাঙালি জাতির কাছে এক স্বাধীনতার মূল মন্ত্র হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ভাষণ আজও সারা বিশ্বের কাছে ঐতিহ্যের একাংশ।
মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্যের অন্যতম হলো মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি।বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল শিকড় খুঁজে পাওয়া যায় পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠা প্রেক্ষাপটে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনভাগ দুই ভাগে বিভক্ত হয় এক ভাগে ভারত এবং অন্য ভাগে পাকিস্তান পাকিস্তান হয় একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা এবং আমাদের বাংলাদেশ হয় সেই পাকিস্তানের পূর্ব পাকিস্তান কিন্তু অর্থনৈতিক রাজনৈতিক এবং সংস্কৃতিক বিষয়ে পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব পাকিস্তান একেবারে ভিন্ন।
পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের{বাংলাদেশের}জনগণের উপর বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে। এমনকি পশ্চিম পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করে। এই সকল অবমাননা রুখে দিতেই পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি জনগণ উপলব্ধি করতে পারে যে তাদের সংস্কৃতি তাদের অধিকার রক্ষা করার প্রয়োজন। তাই তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য এর আগে বাঙালি জাতিকে দীর্ঘ নয় মাস এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ই মার্চের ভাষণের পর ২৫ শে মার্চ কাল রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামে এক নিশংস নির্মমতা ও গণহত্যা চালায় বাংলাদেশের এই জনগণের উপর। এই কঠিন নির্মমতা এবং গণহত্যার মূল লক্ষ্য ছিল বাঙ্গালীদের স্বাধীনতার স্বপ্নকে চিরতরে মুছে ফেলা।
কিন্তু তাদের এই লক্ষ্যকে উল্টো প্রভাব ফেলতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলাদেশের বাঙালি মায়েদের সূর্য সন্তানেরা। এরপরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করে। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পর থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা আসে। ঘোষণা সারা বাংলাদেশ জুড়ে এক বিপ্লবের জন্ম দেয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বীর যোদ্ধারা এই দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে দেশকে মুক্ত করতে জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত হয়ে ওঠে।
মুক্তিযুদ্ধের ধাপ
আরো পড়ুনঃ২০২৫ সালে প্রথম রোজা কত তারিখে এবং রমজানের গুরুত্ব
বিজয়ের মুহূর্ত
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য নিয়ে আজকের মূল আলোচনা হল বিজয়ের মুহূর্ত। অবশেষে বাঙালির বীর সন্তানেরা দীর্ঘ ৯মাস যুদ্ধের পর। আজকের এই দিনে ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্য এক মহান বিজয় ছিনিয়ে আনেন। আজকের এই দিনেই ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অধিনায়ক জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান মিয়াজী।
বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী এবং মিত্র বাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন। আর এই আত্মসমর্পণ এর মধ্য দিয়েই সারা বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র জন্ম নেয় বাংলাদেশের বাঙালি জাতির সূর্যসন্তান এদের এই ত্যাগ এবং দেশের জন্য ভালোবাসা বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরবময়ের অধ্যায় ছিল। তাদের এই রক্তক্ষয়ী ত্যাগের বিনিময়েই আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমাদের অবদান
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য এর কার্যকরী একটি কথা হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে। মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ছিল অপরিসীম। আজকের এই দিনে তাদের আত্মত্যাগ পরিশ্রম এবং বিরুদ্ধে গড়ে ওঠার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন চালিয়ে দেশের মুক্তির জন্য এই দেশের জনগণের স্বাধীনতার জন্য তারা জীবন উৎসর্গ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সকল চিকিৎসক সাধারণ জনগণ এবং বিভিন্ন সংগঠন যারা অনেক রণাঙ্গনে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন এবং দেশ থেকে শত্রু মুক্ত করার জন্য অদম্য সাহস নিয়ে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করেছেন এসব শহীদদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানো এবং তাদের আদর্শ ধারণ করাই আমাদের দায়িত্ব। বিশেষ করে এই দেশের জন্য শহীদ হওয়া অসংখ্য বুদ্ধিজীবী ছিলেন তাদের রক্তেই লেখা হয়েছে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস।
বিজয়ের সুফল এবং আমাদের অগ্রগতি
মহান বিজয় দিবসে আমাদের করণীয়
উপসংহার
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতার এক গৌরবময় দিন। এই দিনটি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ সংগ্রাম এবং একাবাবধ্যতার সংবাদ পৌঁছে দেয়। স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে যারা শহীদ হয়েছে এবং আত্মদান করেছে তারা আমাদের জাতির প্রেরনা। বিজয় দিবস আজকের এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যা আগামী প্রজন্মে দেশপ্রেমের অনুপ্রেরণা জোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
যমুনা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url